সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল ইফতেখারুল ইসলাম ফামিন নামে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর। বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বিনোদপুর এলাকার কাঁচাবাজারে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রামেক) নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ইফতেখারুল ইসলাম ফামিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তার বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমান রাত ২টার দিকে বলেন, ঘটনাস্থল থেকে অচেতন অবস্থায় ওই শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। পরে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। শিক্ষার্থীর লাশ হাসপাতালের মর্গে রাখা আছে। আমরা অনেকেই এখানে আছি। তার পরিবারের সঙ্গে কথা হয়েছে। গাড়ি প্রস্তুত আছে। লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বিনোদপুরের কাঁচাবাজার এলাকার সামনে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে একটি অটোরিকশা ইউটার্ন নিতে গেলে তার মোটরসাইকেলের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে মোটরসাইকেলের পেছনের আরোহী ইফতেখারুল ইসলাম ফামিন ছিটকে পড়ে গিয়ে মাথায় প্রচণ্ড আঘাত পান। উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী সুফিয়ান সিফাত। তিনি মোটরসাইকেলটির থেকে দূরে অটোরিকশাযোগে আসছিলেন।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, মোটরসাইকেলের চালকের সঙ্গে ইফতেখারুল ছিলেন। তখন রাস্তা পুরো ফাঁকা ছিল। আশেপাশে যেহেতু কোনো স্পিড ব্রেকার ছিল না, তাই মোটরসাইকেলের স্বাভাবিক গতি ছিল। কাঁচাবাজারের সামনে হঠাৎ একটি অটোরিকশা ইউটার্ন নিতে গেলে মোটরসাইকেলের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে মোটরসাইকেলের পেছনে থাকা ইফতেখারুল রিকশার ওপর দিয়ে ১০ মিটার দূরে গিয়ে ছিটকে পড়েন। মাথায় প্রচণ্ড আঘাতে তার রক্তক্ষরণ হতে থাকে। মোটরসাইকেল চালক ও রিকশাওয়ালার তেমন কিছু হয়নি। রিকশাটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সুফিয়ান সিফাত আরও বলেন, রিকশাটি হঠাৎ সামনে চলে আসায় ব্রেক করার সুযোগ হয়নি। অ্যাম্বুলেন্স ও ফায়ারসার্ভিসের গাড়ি আসতে দেরি হয়েছে। ইফতেখারুল ১০-১৫ মিনিট ঘটনাস্থলেই পড়ে ছিলেন।
শফিকুল ইসলাম নামের এক অটোরিকশা চালক বলেন, সম্পূর্ণ দোষ রিকশাওয়ালার। উল্টোদিকে ইউটার্ন নিতে গিয়েই এ ঘটনা ঘটে। ছেলেটি মাথায় আঘাত পেয়ে নাক-মুখ দিয়ে রক্ত বের হতে থাকে। সম্ভবত ঘটনাস্থলেই মারা গেছে৷