আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন অটিজম বিশেষজ্ঞ মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের জন্মদিনে সবার কাছে দোয়া চাইলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে রোকেয়া দিবসের অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “একটি অনুরোধ করব, আজকে আমার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের জন্মদিন, সবার কাছে দোয়া চাই।”
শেখ হাসিনা বলেন, “এক সময় এই অটিষ্টিক বা প্রতিবন্ধী শিশুরা জন্ম নিলে বাবা-মা তাদেরকে লুকিয়ে রাখত, বলতে পারত না। যদি কোনো মায়ের সন্তান… কিন্তু সেই মা জন্ম দিল কেন, সেই মাকেও পরিবারে অনেক সময় লাঞ্চিত হতে হয়েছে। এমনকি এমন শিশু জন্ম নিলে তাকে স্বামী তালাক দিয়ে দিয়েছে বা আরেকটা বিয়ে করেছে।”
এ ধরনের একটি অবস্থা সমাজে ছিল মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “একটা বিরাট পরিবর্তন সায়মা ওয়াজেদ আনতে পেরেছে, সেটা হল এখন আর কেউ এই অটিস্টিক বা বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু হলে বা বিকলাঙ্গ শিশু হলে তাদেরকে আর লুকিয়ে রাখে না। বরং গর্বের সাথে বলে।”
১৯৭৩ সালের এই দিনে ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন বঙ্গবন্ধুর নাতনি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ। পুতুল তার ডাকনাম। তিন মেয়ে ও এক ছেলের জননী পুতুল সারা বিশ্বে অটিস্টিক শিশুদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশে অটিজম বিষয়ক জাতীয় কমিটির চেয়ারপারসন তিনি। বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী প্রয়াত ওয়াজেদ মিয়ার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর বিশেষজ্ঞ প্যানেলেরও একজন সদস্য।
সায়মা ওয়াজেদের উদ্যোগেই ২০১১ সালে ঢাকায় প্রথমবারের মত অটিজমের ওপর আন্তর্জাতিক সম্মেলন হয়। ভারতের কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীও তাতে অংশ নেন। বাংলাদেশে ‘নিউরোডেভেলপমেন্ট ডিজঅ্যাবিলিটি ট্রাস্ট অ্যাক্ট ২০১৩’ প্রণয়নের ক্ষেত্রেও মূল ভূমিকা রাখেন সায়মা ওয়াজেদ। তার পরিচালিত ‘সূচনা ফাউন্ডেশন’ বাংলাদেশে মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়ন ও সচেতনতা তৈরিতে কাজ করে যাচ্ছে।
আওয়ামী লীগের গবেষণা উইং সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) একজন ট্রাস্টি এবং ভাইস চেয়ারম্যান তিনি।
জন্মদিনে তাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সিআরআইসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা। সিআরআইয়ের ফেইসবুক পেইজে এবং ব্যক্তিগতভাবেও অনেকে সোশাল মিডিয়ায় ছবি দিয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের প্রতি শুভকামনা জানিয়েছেন।