ভারতশাসিত কাশ্মীরের দক্ষিণ শহর জম্মুতে ও পাঞ্জাব প্রদেশের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী বৃহস্পতিবার (৮ মে) রাতে শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। খবর আল জাজিরা
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, রাত ৮টা থেকে শুরু হওয়া এই হামলা প্রায় ৪০ থেকে ৪৫টি ড্রোন ও মিসাইলের মাধ্যমে হয়েছিল। আকাশে রেড ফ্ল্যাশের মতো আলো দেখতে পাওয়ার পর প্রথমে সাধারণ জনগণ এটিকে আতশবাজি মনে করেছিলেন, কিন্তু কিছু সময় পরই চারপাশ থেকে একের পর এক আলোর ঝলক এবং বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়, যা দ্রুত আতঙ্কের সৃষ্টি করে।
গান্ধীনগর এলাকার বাসিন্দা ৩৭ বছর বয়সী অরুণ সিং আল জাজিরাকে বলেন, ‘আমরা প্রথমে মনে করেছিলাম উৎসবের জন্য আতশবাজি হচ্ছে। তবে পরে বুঝতে পারি যে পরিস্থিতি ভিন্ন। আকাশে ঝলকানো আলো ছড়িয়ে পড়ছিল, কিন্তু সেগুলো নিচে নামছিল না। আতঙ্কিত হয়ে সবাই ঘরের মধ্যে চলে আসে।’
এছাড়া, জম্মু বিমানবন্দর এলাকায় বসবাসকারী একজন বাসিন্দা জানান, ‘বিমানবন্দরের কাছাকাছি সাদা আলো পড়ে যেতে দেখে মনে হচ্ছে এটি বিমানবন্দরের দিকে আক্রমণ।’ হামলার পরেই বিমানবন্দর এলাকায় বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়, যদিও এটি কী কারণে ঘটেছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এই পরিস্থিতিতে শহরের অধিকাংশ অঞ্চলে বিদ্যুৎ বিপর্যয় এবং ফোন সিগন্যাল বন্ধ হয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। জম্মু শহরের অধিকাংশ জায়গাতেই ব্ল্যাকআউট সৃষ্টি হয়েছে, যা মানুষের মধ্যে ভয়াবহ উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, হামলার পর পুরো কাশ্মীর জুড়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে, ফলে বিশেষ করে জরুরি সেবা পাওয়া যাচ্ছে না।
এদিকে, জম্মু বিমানবন্দরও ইতোমধ্যে নিরাপত্তা কারণে বন্ধ রয়েছে, এবং সেখানকার পরিস্থিতি আরও সংকটাপন্ন হয়ে উঠেছে। হামলার পর, শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে, এবং স্থানীয়রা আতঙ্কিত হয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে এটি আরও বড় আক্রমণের ইঙ্গিত হতে পারে।
এদিকে ভারতের বিভিন্ন এলাকা লক্ষ্য করে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর চালানো ক্ষেপণাস্ত্র হামলা প্রতিহত করার দাবি করেছে ভারত।