পহেলগাঁও হামলার জেরে ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা কমানোর জন্য কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালানোর জন্য আহ্বান জানিয়েছে রাশিয়া। এদিকে, পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ এই পরিস্থিতিতে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরতে বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে কূটনৈতিক যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছে।
রোববার (৪ মে) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।
শনিবার রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন এবং ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের অবনতি নিয়ে আলোচনা করেছেন, যা দুটি দেশকে সামরিক সংঘর্ষের দিকে ঠেলে দিতে পারে।
ভারতের এএনআই নিউজ এজেন্সি সূত্রে জানা গেছে, ফোনালাপে দুই শীর্ষকর্তা রাশিয়া-ভারত সহযোগিতা এবং পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের উত্তেজনা নিয়ে আলোচনা করেছেন।
রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সেরগেই ল্যাভরভ ১৯৭২ সালের সিমলা চুক্তি এবং ১৯৯৯ সালের লাহোর ঘোষণা অনুসারে ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক উপায়ে বিরোধ সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন।
এছাড়া, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জে.ডি. ভ্যান্স বলেছেন, তার দেশ আশা করে ভারতের প্রতিক্রিয়া আরও বৃহত্তর আঞ্চলিক সংঘর্ষে পরিণত হবে না।
রাশিয়ার দীর্ঘদিনের ভারতীয় মিত্র হিসেবে, ল্যাভরভের কূটনৈতিক আহ্বান রাশিয়ার সতর্ক অবস্থান নির্দেশ করে।
এদিকে, পাকিস্তান কূটনৈতিকভাবে বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছে, তাদের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে করার জন্য, যখন ভারত সিন্ধু পানিচুক্তি অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে। শনিবার, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ পাকিস্তানের পক্ষ থেকে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি পুনর্ব্যক্ত করেছেন, ভারতের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগের অভিযোগ তুলেছেন।
পাকিস্তানে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত ড. ইরফান নেজিরওলুগুলির সঙ্গে বৈঠকে শাহবাজ শরিফ বলেছেন, পাকিস্তান সব ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের দৃঢ় নিন্দা জানাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, পহেলগাঁও ঘটনা নিয়ে ভারতের তরফে কোনো সঠিক তদন্ত প্রস্তাব করা হয়নি, পাকিস্তান কোনো আন্তর্জাতিক, নিরপেক্ষ তদন্তে পূর্ণ সহযোগিতা করতে প্রস্তুত এবং তুরস্ককে এতে অংশগ্রহণ করলে স্বাগত জানাবে।
এদিকে, পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার গ্রিসের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর জর্জ জেরাপেট্রিটিসের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন এবং ভারতকে ভিত্তিহীন অভিযোগ, ভুয়া প্রচারণা ও একতরফা পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য দায়ী করেছেন।
তিনি বলেন, ভারতের একতরফা সিদ্ধান্ত সিন্ধু পানি চুক্তির স্থগিতকরণের ফলে আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতার চরম লঙ্ঘন ঘটেছে।