বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক দফা দাবিতে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলন এবং আওয়ামী লীগের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘিরে অগ্নিগর্ভে পরিণত হয়েছে পুরো দেশ। রোববার (৪ আগস্ট) দিনভর ঢাকাসহ সারাদেশে সংঘর্ষ ও হামলার ঘটনা ঘটেছে। রাত সাড়ে ৮টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১৪ পুলিশসহ ৮০ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এমন অবস্থায় রোববার সন্ধ্যা ৬টা থেকে কারফিউ চলছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা অহসযোগ কর্মসূচির মধ্যে জনগণকে কারফিউ মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে সেনাবাহিনী।
রোববার (৪ আগস্ট) গণমাধ্যমে পাঠানো আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জনগণের জান-মাল ও রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিরাপত্তা নিশ্চিতে অনির্দিষ্ট কালের জন্য কারফিউ জারির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বাংলাদেশের সংবিধান ও দেশের প্রচলিত আইনের আলোকে তার প্রতিশ্রুত দায়িত্ব পালন করবে। এ বিষয়ে জনসাধারণকে কারফিউ মেনে চলার পাশাপাশি সার্বিক সহযোগিতা করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো।
গতকাল শনিবার (৩ আগস্ট) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে রোববার সকাল থেকে অসহযোগ কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। এতে সংঘর্ষে বহু হতাহতের খবর পাওয়া গেছে।