কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে জঙ্গিদের গণভবন ও এয়ারপোর্টে হামলার পরিকল্পনা ছিল বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বৈঠকের একপর্যায়ে বেরিয়ে সাংবাদিকদের তিনি একথা জানান। প্রতিমন্ত্রী বলেন, কিভাবে তারা হামলার পরিকল্পনা করেছে বৈঠকে ওভারঅল এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা সবগুলো বিষয় এসেস (নির্ণয়) করছি। তারা গণভবন অ্যাটাক করার প্ল্যান করেছিল।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, তারা টেলিভিশন (বিটিভি) কেন অ্যাটাক করতে গেছে? মেট্রোরেলের সঙ্গে কী সম্পর্ক কোটার?তবুও তারা কেন পুড়িয়েছে? তারা পুলিশ স্টেশন অ্যাটাক করেছে। এটার সঙ্গেও বা কী সম্পর্ক৷ তাদের এয়ারপোর্ট অ্যাটাক করার প্ল্যান ছিল। এই জিনিসগুলো এসেস করা হয়েছে৷তাদের শক্তি কতটুকু ছিল-আছে সেগুলো এসেস করা হচ্ছে৷ মূলত থার্মোমিটারের মতো কতটুকু গরম বা ঠান্ডা আছে সেটা এসেস করা হচ্ছে৷ আরও এক ঘণ্টা এ আলোচনা চলবে৷ এরপর সব সিদ্ধান্ত আসবে।
এর আগে দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, কারফিউ, জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ, চলমান বৈষম্যবিরোধী কোটা সংস্কার আন্দোলনসহ গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আলোচনায় বসেন ৭ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী, ৪ সচিব এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রধানরা।
শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম চৌধুরী, ডাক ও টেলিযোগাযোগ এবং তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত আলোচনায় যোগ দেন৷এ ছাড়া বৈঠকে পররাষ্ট্র সচিব, বাণিজ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা ও জননিরাপত্তা বিভাগের দুই সচিবও যোগ দেন।
এ ছাড়া পুলিশের আইজি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন এবং র্যাব, বিজিবি ও আনসার প্রধানসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তারা এ আলোচনায় যোগ দেন।